ওটস এর দাম কত বাংলাদেশে

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ জয়েন করুন

হ্যালো, প্রিয় বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই। আশাকরি, সকলেই ভালো আছেন। আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ওটস এর দাম কত এবং উপকারিতা পুষ্টি উপাদান ও কিছূ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা প্রথমে জেনে নেব ওটস কি? তো চলেন কথা না বাড়িয়ে এক নজরে জেনে নেয়া যাক।

আপনারা হয়ত বা, অনেকেই জানেন ওটস কি? ওটস হচ্ছে এক ধরনের শস্য যা সাধারন মানুষ ও প্রাণীদের খাদ্য তৈরির উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ওটস অত্যন্ত পুষ্টিকর ফাইবার এবং প্রোটিনের একটি উৎস। এছাড়া ওটস এ ভিটামিন এবং খনিজ আয়রন জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। ওটস স্বাস্থ্য ও উপকারিতার জন্য বেশ পরিচিত, যাহা মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, এছাড়া মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ওটস আরো একটি কাজ করে, রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখে।

ওটস এর দাম কত ২০২৪

ওটস (Quakers Oats) ৫০০ গ্রাম এর দাম মাত্র ৳৩৮০ টাকাওটস ৯০০ গ্রাম এর দাম মাত্র ৳৫৯০ টাকা। আপনারা যদি, দারাজ থেকে ওটস অডার করেন। তাহলে, একটু কম টাকার ভিতরে ক্রয় করতে পারবেন। ওটস এর দাম কত ২০২৩ নিয়ে নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

ওটস ৫০০ গ্রামের দাম কত?

ওটস ৫০০ গ্রামের দাম মাত্র ৳৩৮০ টাকা। আপনারা দারজ থেকে খুবই সহজে ওটস ৫০০ গ্রাম ৳২৮০ টাকায় ক্রয় করতে পারবেন।

ওটস এর দাম কত বাংলাদেশে

ওটস ৯০০ গ্রামের দাম কত?

ওটস (Quakers Oats) ৯০০ গ্রামের দাম মাত্র ৳৫৯০ টাকা মাত্র। আপনারা ওটস ৯০০ গ্রাম দারাজ থেকে ৳৫০০ টাকায় ক্রয় করতে পারবেন।

ওটস এর দাম কত বাংলাদেশে

 

ওটস খাওয়ার নিয়ম

ওটস খাওয়ার নিয়ম গুলো নিচে দেওয়া হলঃ

  • প্রতিদিন সকালে ব্রেকফাস্ট এর সময় দুধের সাথে ওটস মিশিয়ে খেতে পারবেন।
  • ওটস টক দই এর সাথে খেতে পারবেন।
  • ওটস দুপুরে খারার তরকারি হিসাবে রান্না করে খেতে পারবেন।
  • চা, কপির সাথে ও ওটস খেতে পারবেন।
  • এছাড়া, আপনি ইউটিউবে ওটস খাওয়ার বিভিন্ন নিয়ম এর ভিডিও পেয়ে যাবেন।

ওটস এর উপকারিতা

বৈজ্ঞানিক মতে, ওটস এর উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। আমরা প্রথমে ওটস এর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।

  • হার্টের চিকিৎসা: ওটস নিয়মিত সেবন করলে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। ওটসের দ্রবণীয় ফাইবার এলডিএল (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আর! এইভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এছাড়া, ওটসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হার্টকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে থাকে।

  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন নিয়ন্ত্রনের জন্য ওটস একটি মূল্যবান উপাদান হতে পারে। কারন, ওটসে থাকা উচ্চ ফাইবার উপাদান পূর্ণতা অনুভব করে এবং ক্ষুধা নিবারন, যা ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। আর,  অতিরিক্তভাবে, ওটগুলির একটি কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে, যার অর্থ তারা টেকসই শক্তি সরবরাহ এবং রক্তে শর্করার বৃদ্ধি করে।

  • রক্তে শর্করা : ওটস রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। ওটস ডায়াবেটিসযুক্ত রোগীদের ক্রম বিকাশের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের উপকার করে। ওটসের দ্রবণীয় ফাইবার কার্বোহাইড্রেটের হজম এবং শোষণকে ধীর করে দেয়, যা ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ ছেড়ে দেয়। এছাড়া, ওটস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সক্ষম হয়।

  • ত্বকের স্বাস্থ্য: ওটসে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টিগুণ স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। ওটসের প্রশান্তিদায়ক অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একজিমার মতো ত্বকের নির্দিষ্ট অবস্থার সাথে সম্পর্কিত চুলকানি এবং প্রদাহকে উপশম করতে পারে। ওটস ভিত্তিক স্কিনকেয়ার পণ্যগুলি তাদের ময়শ্চারাইজিং এবং এক্সফোলিয়েটিং প্রভাবগুলির জন্য খুবই জনপ্রিয়।

  • শক্তি প্রদান: ওটস জটিল কার্বোহাইড্রেটের একটি চমৎকার উৎস। এটি শরীরের শক্তির বাড়াতে সাহায্য করে। ওটস সাধারনত টেকসই শক্তি প্রদান করে, ওটস বেশির ভাগ ক্রীড়াবিদ এবং সক্রিয় জীবনধারায় নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিদের জন্য আদর্শ একটি খাদ্য। এছাড়া, ওটসে ভিটামিন বি ও রয়েছে যা মানব শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আই হোপ, আপনারা বুঝতে পেরেছেন। ওটস গ্রহন করার ফলে কি কি উকারিতা হতে পারে। আপনারা কখনই ভূলবেন না। যে প্রত্যেক জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি অপকারিতা ও থাকে। তাই, আমাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ওটস এর অপকারিতা

বৈজ্ঞানিক মতে, যেমন ওটস সেবনে উপকারিতা রয়েছে। তেমনি ওটস সেবনে অপকারিতা ও রয়েছে। আমরা এখন ওটস এর অপকারিতা নিয়ে নিন্মে আলোচনা করব।

  • এটি অস্বাভাবিক হলেও, কিছু মানুষের ওটস গ্রহন করার ফলে, অ্যালার্জি হতে পারে। এর ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি ও ফুলে যাওয়া বা হজম ব্যাঘাত ঘটনোর মতো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আপনার যদি ওটস এ অ্যালার্জি বা সংবেদনশীলতা সন্দেহ হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

  • ওটসে প্রচুর পরিমানে ফাইটিক অ্যাসিড থাকে।যা অনেক সময় অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট যা আয়রন, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়ামের মতো নির্দিষ্ট খনিজগুলির শোষণকে বাধা দিতে পারে। যাইহোক, খাওয়ার আগে ওটস ভিজিয়ে রাখার মাধ্যমে ফাইটিক অ্যাসিডের প্রভাব কমানো যেতে পারে। তবে, ওটস খাওয়া ফলে যদি কোন সমস্যা দেখা যায়। তবে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

  • অন্যান্য অনেক উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারের মতো ওটসে ও অক্সালেট থাকে। অক্সালেট সুস্থ ব্যক্তিদের কিডনিতে পাথর তৈরিতে অবদান রাখতে পারে। আপনার যদি কিডনিতে পাথর হওয়ার পূর্বে কোন সমস্যা থাকে বা আপনার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাহলে ওটস সহ অক্সালেট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ কম করা উচিত। এছাড়া, আপনি চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

  • ওটস কে সাধারণত একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তবে অন্যান্য শস্যের তুলনায় যাদের ক্যালোরি তুলনামূলকভাবে বেশি। তারা যদি ক্যালোরি-সীমাবদ্ধ ডায়েট অনুসরণ করেন বা ওজন কমানোর লক্ষ্যে থাকেন, তবে ওটস খাওয়ার বিষয় সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। এছাড়া, আপনি অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন।

  • ওটস ফাইবারের একটি ভাল উৎস, কিছু মানুষ ওটস খাওয়ার সময় হজমের অস্বস্তি অনুভব করতে পারে, যেমন ফোলাভাব, গ্যাস বা পেটে ব্যথা। এটি ওটসের ফাইবার সামগ্রী বা অন্যান্য উপাদানগুলির কারণে ও হতে পারে। ধীরে ধীরে ডায়েটে ওটস প্রবর্তন করা এবং পর্যাপ্ত হাইড্রেশন নিশ্চিত করা এই লক্ষণগুলি ব্যপারে অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত।

আশাকরি, আপনারা বুঝতে পেরেছেন। ওটস এর অপকারিতা। আমরা আপনাকে অবশ্যই ওটস খাওয়ার আগে সাজেশন করব। আপনি একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ওটস এর পুষ্টি উপাদান

আমরা এবার আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ওটস এর পুষ্টি ও উপাদান সমূহ। ১০০ গ্রাম ওটস এ কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে। সেগুলো নিন্মে শেয়ার করা হল।

  • ক্যালরি – 389
  • প্রোটিন – 16.9 গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট – 66.3 গ্রাম
  • ফাইবার – 10.6 গ্রাম
  • শর্করা – 0.4 গ্রাম
  • চর্বি – 6.9 গ্রাম
  • মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট – 2.1 গ্রাম
  • পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট – 2.5 গ্রাম
  • সোডিয়াম – 2 মিলিগ্রাম
  • পটাসিয়াম – 429 মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম – 52 মিলিগ্রাম
  • আয়রন – 4.7 মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম – 138 মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস – 410 মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি 1 (থায়ামিন) – 0.4 মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি 5 (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড) – 1.3 মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি 6 – 0.1 মিলিগ্রাম
  • ফোলেট (ভিটামিন বি 9) – 56 মাইক্রোগ্রাম

আশাকরি, আপনারা জানতে পেরেছেন, ওটস এ কি কি পুষ্টি ও উপাদান থাকে। ওটস এ আমরা বেশির ভাগই পুষ্টিকর উপাদান থাকে।

আমাদের শেষকথাঃ

আশাকরি, আপনারা ওটস এর দাম কত বাংলাদেশে জানতে পেরেছেন। আমাদের ওয়েবসাইট সবসময় আপনাকে সব কিছু বিস্তারিত ভাবে আলোচনা ও আপনাবে জানকে সাহায্য করবে। আজকের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে। আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন।

ওটস এর দাম কত?

ওটস (Quakers Oats) ৫০০ গ্রামের দাম মাত্র ৳৩৮০ টাকা এবং ওটস ৯০০ গ্রামের দাম মাত্র ৳৫০০ টাকা দাম।

ওটস এর দাম বাংলাদেশে?

ওটস (Quakers Oats) এর দাম বাংলাদেশে ৫০০ গ্রামের দাম মাত্র ৳৩৮০ টাকা এবং ওটস ৯০০ গ্রামের দাম মাত্র ৳৫০০ টাকা দাম।

বড়দের ওটস এর দাম কত?

বড়দের ওটস এর দাম ৫০০ গ্রাম মাত্র ৳৩৮০ টাকা। ওটস ৯০০ গ্রাম এর দাম মাত্র ৳৫৯০ টাকা।

বাচ্চাদের ওটস এর দাম?

বাচ্চাদের ওটস এর দাম ৫০০ গ্রাম মাত্র ৳৬৫০ টাকা।

আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ জয়েন করুন

Leave a Comment