হ্যালো, প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা। কেমন আছ তোমরা। আশাকরি, সকলেই ভালো আছে। আমি আজ তোমাদের সাথে শেয়ার করব। সহজ ভাবে চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা। তোমরা যারা, বাংলাই চিঠি লিখতে পার না। তারা, আজকের পর থেকে সবাই চিঠি লিখতে পারবেন।
তোমরা যারা, বাংলা ২য় পত্র চিঠি লেখার নিয়ম বিষয়ে যান না। আজকে বাংলায় ব্যাক্তিগত চিঠি, আবেদন পত্র, সংবাদপত্রে পত্র, মান বা অভিনন্দন পত্র, বাণিজ্যক পত্র, নিমন্ত্রন পত্র ও স্মারকলিপি বা অভিযোগ পত্র বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়া, এই চিঠি গুলো বাংলায় যে ভাবে লিখবেন। তার বিষয়ে ক্লিয়ার কাট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা
বর্তমান সময়ে চিঠির প্রচলন নেই বললে ভূল হবে। তবে, আমাদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে চিঠি পড়তে বা লিখতে হয়, বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষার সময়। তাই, তোমাদের সবার চিঠির বিষয়ে জানা উচিত। তোমরা কি জান চিঠি কত প্রকার? চিঠি সাধারণত দুই প্রকার।
১. ব্যক্তিগত পত্র
২. ব্যবহারিক পত্র
ব্যাক্তিগত চিঠি লেখার নিয়ম
ব্যাক্তিগত চিঠি সাধারণত আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা পারিবারিক কোনো সদস্যের কাছে লিখতে হয়। আর! এই ধরণের চিঠি গুলোকে ব্যাক্তিগত চিঠি বলে। তবে, চল এবার তোমাদের সাথে ব্যাক্তিগত চিঠি লেখোর নিয়ম বা কিভাবে লিখবে সেটি নিচে শেয়ার করছি।
ব্যাক্তিগত চিঠি লেখার নিয়ম
আমি তোমাদের জন্য উদাহরণ স্বরূপ একটি ব্যাক্তিগত চিঠি লেখার নিয়ম শেয়ার করব। ব্যাক্তিগত পত্রটি হল – পরীক্ষায় কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্য ব্যাক্তিগত অভিনন্দন জানিয়ে বন্ধুর নিকট একখানা পত্র লেখো। অথবা, তোমার কোন বন্ধু এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাকে অভিনন্দন জানিয়ে একখানা পত্র লেখো। তোমরা এই নিচের নিয়মে সবগুলো ব্যাক্তিগত চিঠি লিখতে পারবেন।
বন্ধুকে ব্যাক্তিগত অভিনন্দন জানিয়ে বন্ধুর নিকট একখানা পত্র!
ঢাকা
তারিখঃ ১০/০৪/২০২৪ ইং
প্রিয় সাগর,
আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। গতকাল তোমার চিঠি পড়ে জানতে পারলাম, তোমাদের এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে এবং তুমি জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছ। এ সাফল্যের জন্য তোমাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। তোমার এ কৃতিত্ব আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। তোমার দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম বিধাতা সার্থক করেছেন। তোমার এ সাফল্যে আব্বা ও আম্মা খুশী হয়ে তোমাকে প্রাণভরে দোয়া করেছেন। এখানেই তোমার শেষ নয়। মনে রাখবে, আত্মতৃপ্তি নিয়ে বসে থাকলে সামনে এগোতে পারবে না। আশা করি, তোমার এ ধরনের কৃতিত্ব জীবনের পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে বহাল থাকবে। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে তোমাকে আরো বেশি মনোযোগী ও পরিশ্রমী হতে হবে। দেশ ও জাতি তোমার কাছে অনেক আশা করে। আজ আর নয়। তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষণ হয়ে ওঠুক সাফল্যময়। এই কামনায় আজ শেষ করছি।
ইতি-
তোমার বন্ধু
বিরেশ
আবেদন পত্র লেখার নিয়ম
আমি এবার তোমাদের সাথে আবেদন পত্র লেখার নিয়ম শেয়ার করব। আবেদন পত্রটি হল- তোমার এলাকার একটি রাস্তা মেরামত/সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট একখানা দরখাস্ত লেখো। অথবা, সাম্প্রতিক বন্যায় তোমাদের এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট একখানা দরখাস্ত লেখো। তোমরা এই নিয়মের মাধ্যমে সবগুলো আবেদন পত্র লিখতে পারবেন।
রাস্তা সংস্কারের জন্য আবেদন পত্র লেখো!
তারিখঃ ১২/০৫/২০২৪ ইং
নির্বাহী প্রকৌশলী
সড়ক ও জনপথ বিভাগ, কুমিল্লা।
বিষয়ঃ রাস্তা সংস্কারের জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কটি অত্র এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। জেলা শহরের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, বেবি-টেক্সি ও রিক্সাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। কিন্তু গত কয়েক বছরের উপর্যুপরি বন্যায় রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়ে। তাছাড়া এবারের বন্যায় রাস্তাটির স্থানে স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে এমনই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে যে, যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর। কয়েক বছর পূর্বে রাস্তাটিতে ইট বসানো হয়েছিল এবং কিছু অংশ পাকা করা হয়েছিল। কিন্তু বহুদিন যাবত সংস্কার কার্য না হওয়ায় রাস্তার ইটগুলো খসে পড়েছে এবং কোনো কোনো স্থানে মাটিও ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে বাস, ট্রাক চলাচল ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অথচ এ রাস্তার পাশেই রয়েছে বাজার, হাসপাতাল, কলেজ ও মাদ্রাসা। এখানকার উৎপন্ন ফসল যোগাযোগের অভাবে ভালো বাজার পাচ্ছে না। জরুরি অবস্থায় রোগী এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয় না বলে তাদের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করতে হয়। তাই রাস্তাটির আশু সংস্কারের ব্যবস্থা না হলে যাতায়াতে অত্র এলাকার জনগণের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। ইতোপূর্বে এ ব্যাপারে কয়েকবার আবেদন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
অতএব, মহাত্মন সকাশে প্রার্থনা, অবিলম্বে রাস্তাটির সংস্কার সাধন করে অত্র এলাকার জনগণের দুর্দশা লাঘবে আপনার মর্জি হয়।
বিনীত-
আবদুল কামাল
এলাকাবাসীর পক্ষে।
সংবাদপত্র লেখার নিয়ম
আমরা এখন তোমাদের সাথে শেয়ার করব। সংবাদপত্র লেখার নিয়ম। কারণ, অনেক সময় পরীক্ষার সংবাদপত্র পড়ে থাকে। কিন্তু! কোন বইতে সংবাদপত্র থাকে। আবার কোন বইতে থাকে না। তাই, আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে সংবাদপত্র লেখার সহজ নিয়ম শেয়ার করা হল। সংবাদপত্রটি হল – ভেজাল খাদ্যের কারণে জনস্বাস্থ্যের অবনতির কথা জানিয়ে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য সম্পাদককে একটি পত্র লেখো।
তারিখঃ১৪/০৫/২০২৪ ইং
বরাবর
সম্পাদক,
প্রথম আলো, ঢাকা।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় চিঠিপত্র কলামে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত পত্রটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত-
দেশবাসীর পক্ষে
সাগর আহমেদ
“খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন”
খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীতে ভেজাল মিশ্রনের বিষয়টি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনার ফলে প্রতিদিনই ভেজাল পণ্যের তালিকা দীর্ঘায়িত হচ্ছে, বেরিয়ে আসছে ভেজাল পণ্যের চাঞ্চল্যকর ইতিকথা। আজকাল চালের ওজন বৃদ্ধির জন্য চালের সাথে মেশানো হয় বালি ও পাথর কুচি। শাক-সবজি সতেজ রাখতে এবং ফলমূল পাকাতে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য। ছোট-বড় বিভিন্ন মাছকে সতেজ রাখতে ও পঁচনের হাত থেকে রক্ষা করতে বিক্রেতারা বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহার করছে। এমনিভাবে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য যেমন-ডাল, গুঁড়া মসলা, ভোজ্য তেল, ঘি প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য। বিস্কুট, জুসের মতো শিশুখাদ্যে নির্দ্বিধায় মিশানো হচ্ছে কৃত্রিম ফ্লেভার। নকল ওষুধ খেয়ে মৃত্যুবরণ করছে অসংখ্য নিষ্পাপ শিশু। এসব রাসায়নিক দ্রব্য মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ভেজাল মেশানো খাবারের ভিড়ে ভেজালমুক্ত খাবার পাওয়া এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ভেজাল বিরোধী অভিযানের ফলে এ প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেলেও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে আবিষ্কৃত হয়েছে খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অভিনব পদ্ধতি। ফলে ক্রমান্বয়ে লোকজন নানা মান্ত্রক অসুখ-বিসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অসহনীয় অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত না করলে তা একসময় বিভীষিকা হিসেবে দেখা দেবে অথচ বাজার থেকে মানসম্পন্ন খাবার প্রাপ্তির অধিকার সবার রয়েছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে ভেজালমুক্ত খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তা। সরকারকেই নিতে হবে। এজন্য ভেজালকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া গণসচেতনতার পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক আইন প্রণয়ন ও এর যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা গেলে মানুষ ভেজালমুক্ত এবং নিরাপদ খাদ্য পাবে।
নিবেদক-
দেশবাসীর পক্ষে
সাগর আহমেদ
রামপুরা, ঢাকা।
মানপত্র বা অভিনন্দন পত্র লেখার নিয়ম
এবার, আমরা আপনাদের সাথে মানপত্র বা অভিনন্দন পত্র লেখার নিয়ম শেয়ার করব। অভিনন্দন পত্রটি হল- তোমার বিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মানপত্র রচনা করো। তবে, চলুন মানপত্র লেখার পদ্ধতি দেকা নেওয়া যাক।
তারিখঃ ২৩/১২/২০২৪ ইং
বাইড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১২ সালের এইচ. এস. সি. পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে-
“আন্তরিক সংবর্ধনা”
হে বিদায়ী ভাই / বোনেরা,
ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর কলকাকলিতে মুখরিত অঙ্গন থেকে আজ তোমাদের অশ্রুসজল বিদায় আমাদের হৃদয়কে বেদনামথিত করেছে। বিদায় বেলায় তোমরা আমাদের বেদনার্ত হৃদয়ের সংবর্ধনা গ্রহণ করো।
হে নতুন পথের অভিযাত্রীদল,
জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ পটভূমিতে তোমরা এখন নতুন পথিক। তোমাদের সামনে এখন দীপ্তিময় প্রত্যাশা। দীর্ঘদিন ধরে এ শিক্ষাঙ্গনে তোমাদের অবস্থানের লক্ষ্য ছিল জ্ঞানের সাধনায় একনিষ্ঠভাবে আত্মনিয়োগ। অপরিমিত আকাঙ্খা তোমাদের নিয়ে যাচ্ছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে, বৃহত্তর জ্ঞান সাধনার পথে। পেছনের আকর্ষণ উপেক্ষা করে তোমাদের অগ্রযাত্রা হবে গৌরবময়। তাই স্মৃতি আজ বেদনাময় হয়ে ওঠলেও সকল মায়া তোমাদের কাটাতে হবে। জীবনে বয়ে আনতে হবে জ্ঞানালোকের উজ্জ্বল সম্ভাবনা, জাতির অনাগত দিনের পরম নির্ভর হয়ে ওঠার সাধনায় তোমাদের সফল হতে হবে।
হে সহৃদয় সুহৃদ,
তোমাদের উজ্জ্বল আদর্শ আমাদের প্রেরণার উৎস। তোমাদের সাফল্য আমাদের গৌরবের বস্তু। তাই তোমাদের সাধনার পথে আমাদের অনুসরণ চলবে আগামী দিনে। চলার পথে হয়তো আমরা কখনো তোমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে তোমাদের মনে কষ্ট দিয়েছি। তোমাদের ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি আমাদের জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনুক। আর আমাদের কামনা থাকুক তোমাদের সাধনার সফল স্বপ্নের।
তোমাদের গুণমুগ্ধ-
ছোট ভাই-বোনেরা
বাইড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা।
বাণিজ্যিক পত্র লেখার নিয়ম
আমরা মনেহয় না, তোমাদের কোন পরীক্ষায় বাণিজ্যিক পত্র পড়ে। তবে, তোমাদের সবার জানা উচিত কিভাবেবাণিজ্যিক পত্র লিখতে হয়। বাণিজ্যিক পত্রটি হল- তোমার প্রয়োজনীয় কিছু বই ভি.পি.পি করে পাঠানোর জন্য কোন পুস্তক ব্যবসায়ীর নিকট একখানা পত্র লেখো। তবে, চলুন বাণিজ্যিক পত্র লেখার পদ্ধতি নিচে শেয়ার করা যাক।
তারিখঃ ২৩/১২/২০২৪ ইং
বরাবর
ম্যানেজার,
পপি লাইব্রেরি,
৩৮ বাংলাবাজার, ঢাকা।
জনাব,
অনুগ্রহপূর্বক আপনাদের প্রকাশিত নিচের তালিকাভুক্ত বইগুলো নিবর্ণিত ঠিকানায় ভি.পি.পি. যোগে পাঠিয়ে বাধিত করবেন। ভি.পি.পি. আসামাত্র বইগুলো গ্রহণ করার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
প্রয়োজনীয় বইয়ের তালিকা:
- পপি মাধ্যমিক বাংলা ১ম পত্র —- মোঃ আবদুল মজিদ —- ৩ কপি।
- পপি মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ —- মোঃ আবদুল মজিদ —- ২ কপি।
- পপি মাধ্যমিক রচনা শিক্ষা —- মোঃ আবদুল মজিদ —– ২ কপি।
বিনীত-
মোঃ সাগর হাসান বিজয়
নবম শ্রেণী
বাইড়া এম. এ হাইস্কুল,
মুরাদনগর, কুমিল্লা।
নিমন্ত্রন পত্র লেখার নিয়ম
আমরা এবার তোমাদের সাথে নিমন্ত্রন পত্র লেখার নিয়ম শেয়ার করব। আশাকরি, তোমরা আজকের পর থেকে সকল পরীক্ষায় নিমন্ত্রন পত্র রিখতে পারবে। নিমন্ত্রন পত্রটি হল- তোমার বিদ্যালয়ে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি নিমন্ত্রন পত্র বা আমন্ত্রণ পত্র রচনা করো।
তারিখ: ০৯/১০/২০১৪ইং
সুধী,
আগামী ১ বৈশাখ ১৪১৯ বঙ্গাব্দ, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪ ইং প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমাদের ‘ক’ বিদ্যালয়ে ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ‘বৈশাখী মেলা’ ও ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ এর আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন কুমিল্লা জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক। সভাপতির আসন অলংকৃত করবেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ।
আপনি / আপনারা উক্ত অনুষ্ঠানে সাদরে আমন্ত্রিত।
বিনীত-
রাজু বিশ্বাস
সাংস্কৃতিক সম্পাদক,
বাইড়া উচ্চ বিদ্যালয়।
স্মারকলিপি বা অভিযোগ পত্র লেখার নিয়ম
আমরা এবার তোমাদের সাথে স্মারকলিপি বা অভিযোগ পত্র লেখার নিয়ম শেয়ার করব। স্মারকলিপি বা অভিযোগ পত্রটি হল- রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট ক্ষতিগ্রস্থ মালের ক্ষতিপূরণ দাবি করে একটি পত্র লেখো। তবে, চল নিচে স্মারকলিপি বা অভিযোগ পত্র লেথার পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
তারিখ: ০৯/১০/২০১৪ইং
বরাবর,
চীফ কমার্শিয়াল অফিসার,
বাংলাদেশ রেলওয়ে, চট্টগ্রাম।
বিষয়: পরিবহনকালে ক্ষতিগ্রস্ত মালের ক্ষতিপূরণ দাবি।
জনাব,
অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, গত ২৫ জুন তারিখে চট্টগ্রামস্থ মেসার্স রহমান এন্ড ব্রাদার্স যে ২৫ বাক্স ওষুধের চালান আমাদের নামে প্রেরণ করে তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আমাদের কুমিল্লা স্টেশনে পৌঁছেছে। প্রেরিত মালের চালান নম্বর ছিল R.R 28340, তারিখ: ২৫/০৬/২০১২ইং। আমরা ব্যাপারটি সাথে সাথে স্টেশন মাস্টারকে অবহিত করি। স্টেশন মাস্টারের নির্দেশক্রমে ট্রাফিক কর্মকর্তা ওপেন ডেলিভারির ব্যবস্থা করে। দেখা যায় ৫ বাক্স ওষুধ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে। ওষুধের বাক্সের ওপরে কাপড়ের গাইট রাখার ফলে এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাফিক কর্মকর্তার প্রদত্ত নোটের একটি কপি এতদসঙ্গে আপনার অবগতির জন্য প্রেরণ করলাম। উল্লেখ্য, আমাদের সরবরাহকারী কাঠের বাক্সে অত্যন্ত ভালোভাবে প্যাক করে ওষুধ প্রেরণ করে এবং প্রতিটি বাক্সের ওপরিভাগে ও পাশে ‘বোতলে ভর্তি ওষুধ’ লেবেল লাগানো ছিল। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, পরিবহনকালে বাক্সের ওপর কাপড়ের গাইট রাখায় ঐ বাক্সগুলো ভেঙ্গে যায়। রেল কর্মীদের অবহেলা এবং অসাবধানতাজনিত কারণে মালগুলো বিনষ্ট হয়েছে। ওষুধের বাক্সগুলো রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে প্রেরিত হয়েছিল। এতে ক্ষতির পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ২০,০০০/- টাকা। উক্ত মালের ক্ষতি বাবদ আমাদের যে আর্থিক ক্ষতি ২০,০০০/- টাকা হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। অনুগ্রহপূর্বক আমাদেরকে অতিসত্বর ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বাধিত হব।
আপনাদের বিশ্বস্ত-
এ. আর চৌধুরী
খান মেডিকেল স্টোর, কুমিল্লা।
আমাদের শেষকথাঃ
আশাকরি, তোমরা চিঠি লেখার নিয়ম বাংলা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছ। আমরা বাংলা সব ধরণের পত্র লেকার নিয়ম গুলো শেয়ার করেছি। তোমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে। তোমাদের প্রিয় বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার কর। আর! যদি, কোন কিছু বোঝতে অসুবিধে হয়। তবে, আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট অথবা আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করতে ভূলবে না। ধন্যবাদ