বাদাম শেক এর দাম কত – হ্যালো, প্রিয় বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই আশাকরি, সকলেই ভালো আছেন। আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বাদাম শেক এর দাম ও এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। তবে, চলুন কথা না বাড়িয়ে আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
বর্তমান সময়ে প্রত্যকের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন করা প্রয়োজন। বাদাম শেক সাধারনত বাদাম ও দুধের মিশ্রনে তৈরি করা হয়। বাদাম ও দুধ এই দুটি জিনিস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনারা হয়ত বা, অনেক সময় ফেসবুক, টেলিভিশন কিংবা ইউটিউবে দেখবেন বাদাম শেক এর বিঙ্গাপন দেখায়। আপনারা হয়ত অনেক আগে থেকেই শুনছেন বাদাম শেক কি? এই বাদাম শেককে অনেকেই মিল্ক শেক ও বলে থাকে।
বাদাম শেক হল বাদাম, দুধ এবং চিনি দিয়ে তৈরি একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাদ্য। এটি ভারত ও পাকিস্তানের একটি জনপ্রিয় পানীয় এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলোতে এটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া, এর পুষ্টিগুণ ছাড়াও, বাদাম শেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলির একটি ভাল উৎস। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে ক্ষতি হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সার এবং হৃদরোগ মত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্ত করে।
বাদাম শেক এর দাম কত
বাদাম শেক এর দাম ৫০ গ্রাম মাত্র ৳৬৫০ টাকা। এছাড়া, ১ কেজি বাদাম শেক এর দাম ১২০০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর বাদাম শেক পাবেন। তবে, দাম একটু কম বেশি হতে পারে। আর! বর্তমান সময়ে আপনি প্যাকেটের গায়ে দাম ও ডেট দেখতে পাবেন।
বাদাম শেক খাওয়ার নিয়ম
বাদাম শেক একটি ভাল প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের উৎস। এটিতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেটও কম থাকে, যা ওজন কমাতে বা ওজন বজায় রাখার জন্য সয়হতা করে। বাদাম শেক খাওয়ার নিয়ম নিচে শেয়ার করা হল।
- বাদাম শেক প্রতিদিন সকাল ও বিকাল ১/২ বার (৩/৪ চামস) খাওয়া পানি বা গরম দুধে মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
- আপনি যদি, আপনার ৩ বছরের বাচ্চার জন্য বাদাম শেক খাওয়াতে চান। তাহলে, প্রতিদিন ২ চামচ পাওডার খাওয়াতে পারবেন।
- আপনারা যখনি, বাদাম শেকটা পান করবেন। তখনি আপনারা যদি চান কয়েক টুকরা বরফ যুক্ত করে ও পান করতে পারেন।
- এছাড়া, বাদাম শেক খাওয়ার আগে চকলেট সিরাম ও পুষ্টিকর কিছু উপাদান ও মিশিয়ে পান করতে পারেন।
- বাদাম শেক আপনি যে কোন পানীয়র সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন।
- বাদাম শেক এ গরম দুধ দিয়ে ও খেতে পারবেন।
আমরা উপরে কয়েকটি বাদাম শেক খাওয়ার নিয়ম শেয়ার করেছি। তবে, আমরা আপনাদের সব সময় সাজেস্ট করব। আপনারা যেটা করুন না কেন? আপনারা একবার হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তাহলে, ডাক্তার আপনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয় গুলো ও সর্তকতা করবে।
বাদাম শেক এর উপকারিতা
বাদাম শেক প্রত্যকের জন্য খুবই পুষ্টিকর ও গুরুত্বপূর্ন একটি পানীয়। এই পানীয়টি আপনি আপনার স্বাস্থ সুরক্ষিত করার জন্য নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করতে পারেন। এটি সেবন বা পান করার ফলে, আপনি অনেক সমস্যা বা রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বাদাম শেক এর উপকারিতা নিচে দেওয়া হল।
- হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: বাদাম শেক এ মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের একটি ভাল উৎস, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সয়হতা করে থাকে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়: বাদাম শেক এ ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সয়হতা করে।
- শক্তির মাত্রা বাড়ায়: বাদাম শেক প্রোটিন ও ফাইবারের একটি ভাল উৎস, যা আপনার শরীরকে সারাদিন পূর্ণ শক্তিমান বোধ করাতে সয়হতা করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে: বাদাম শেক একটি কম-ক্যালোরি, উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার যা আপনাকে খাওয়ার পরে পরিপূর্ণ এবং তৃপ্ত বোধ করতে সাহায্য করবে।
- ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: বাদাম শেক ভিটামিন ই এর একটি ভাল উৎস, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, আপনার ত্বককে সুরক্ষিত করতে সয়হতা করে।
- ক্যান্সার থেকে রক্ষা: বাদাম শেক এ এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সারের মত রোগকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং সেটা প্রমানিত।
এছাড়া, বাদাম শেক ভিটামিন ই এর একটি উৎস। আপনারা সকলেই জানেন ভিটামিন ই যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশাকরি, আপনারা বাদাম শেক এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর! আপনি যদি বাদাম শেক এর ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানকে চান। তাহলে, আপনি আপনার আশে পাশে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বাদাম শেক এর অপকারিতা
বাদাম শেক খাওয়ার জন্য যেমন উপকার রয়েছে। তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। বাদাম শেক খাওয়ার ফলে কিছু কিছু সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি নিন্মের সমস্যা গুলো থাকে। তাহলে, বাদাম শেক খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাদাম শেক খাওয়ার অপকারিতা নিচে শেয়ার করা হল।
- এলার্জি: আপনারা সবাই জানেন যে, বাদাম দিয়ে বাদাম শেক তৈরি করা হয়। আপনার যদি বাদাম খেলে অ্যালার্জি হয়। তবে, আপনার বাদাম শেক খাওয়া উচিত হবে না। অনেক সময় বাদাম খেলে আপনার অ্যালার্জি নাও হতে পারে। আপনি যদি অনেক বেশি বাদাম শেক খান তবে আপনি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারেন।
- গয়ট্রোজেন: আমরা সবাই কম বেশি জানি, বাদামে গয়ট্রোজেন থাকে, এমন পদার্থ যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করতে পারে। আপনার যদি থাইরয়েডের অবস্থা থাকে তবে বাদাম শেক খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
- উচ্চ-ক্যালোরি: বাদাম শেক একটি উচ্চ-ক্যালোরি জাতীয় পানীয়। আপনি যদি ওজন কমানোর চেষ্টা করেন তবে আপনার বাদাম শেক খুবই কম খাওয়া উচিত।
- মিষ্টির পরিমাণ বেশি: আপনারা অনেক সময় বাদাম শেক এ চিনি যুক্ত করে মিষ্টি করেন। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। তাই, আপনি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- হজমের সমস্যা: বাদাম শেক খাওয়ার ফলে, কিছু লোকের হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা সব সময় বাদাম শেক খান তাদের হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই, বাদাম শেক খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
বাদাম শেক খেলে আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তবে, আপাতত আমরা এই গুলো জানি। আপনি যদি, বাদাম শেক এর ব্যাপারে আরো বিস্কারিত জানতে চান। তবে, আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বাদাম শেক খেলে কি ওজন বাড়ে
বাদাম শেক খেলে অবশ্যই শরিরের ওজন বৃদ্ধি পায়। তবে, আপনি যদি ডায়েটকন্ট্রোল করে থাকেন। তাহলে, আপনাকে বাদাম শেক কম পরিমানে খেতে হবে। কারন, অতিরিক্ত বাদাম শেক খাওয়ার ফলে, আপনার ওজন কমতে ও পারে। আমরা যত টুকু গুগল থেকে রিসার্চ করে পেয়েছি। এটি সাধারনত ওজন বাড়াতে সয়হতা করে। ঠিক তেমনি যারা ডায়েট করেন। তাদের জন্য এটি সমস্যার কারস ও হতে পারে। তাই আমরা আপনাদের সাজেস্ট করব। বাদম শেক খেলে ওজন বাড়ে কি কমে সেটা অবশ্যই ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিন।
আমাদের শেষকথাঃ
আশাকরি, আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন। বাদাম শেক কি? বাদাম শেক এর দাম কত? এছাড়া, আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। বাদাম শেক খেলে কি কি উপকার হবে এবং কি কি অপকারিতা হতে পারে। তো, আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে অনেক বিষয় জানতে পেরেছেন। তবে, আমরা ডাক্তার না। আপনি শুধুমাত্র আমাদের আর্টিকেল উপর ভিত্তি করে কোন কিছু করবেন না। আপনি অবশ্যই একবার হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ধন্যবাদ